আইআইইউসি টেক ফেস্ট ২০২৫
পঞ্চাশ বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই হাজার প্রতিযোগী নিয়ে বর্ণাঢ্য উদ্বোধন
পঞ্চাশ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় দুই হাজার প্রতিযোগী নিয়ে গতকাল শনিবার সকালে আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম (আইআইইউসি)-এর বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের বর্ণাঢ্য আয়োজনে উদ্বোধন হলো আইআইইউসি’র আট দিন ব্যাপী ১৬ তম প্রযুক্তি উৎসব টেক ফেস্ট ২০২৫।
২২ নভেম্বর, ২০২৫ শনিবার সকাল এগারটায় কুমিরাস্থ নিজস্ব ক্যাম্পাসে আইআইইউসি’র ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আলী আজাদীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আট দিন ব্যাপী এই টেক ফেস্ট-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ. এম. সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরী। গেস্ট অব অনার ছিলেন ইউনিভার্সিটি অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি বাংলাদেশ এর ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. আবু ইউসুফ। বিশেষ অতিথি ছিলেন ইঞিজনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ, চট্টগ্রাম কেন্দ্রের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মানজারে খোরশেদ আলম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন এবং টেক ফেস্ট-২০২৫ অর্গানাইজিং কমিটির কনভেনার প্রফেসর মোহাম্মদ সামসুল আলম। বিশেষ অতিথি হিসাবে আরও বক্তব্য রাখেন আইআইইউসি’র বোর্ড অব ট্রাস্টিজের ভাইস চেয়ারম্যান মুহাম্মদ শাহজাহান, আইআইইউসি‘র ট্রেজারার প্রফেসর ড. মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমান এবং আইআইইউসি‘র রেজিস্ট্রার কর্নেল মোহাম্মদ কাশেম পিএসসি (অবঃ)। এ ছাড়াও বক্তব্য রাখেন, সিসিই বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর রাজু আহমেদ, সিএসই বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আমানউল্লাহ, ফার্মাসি বিভাগের চেয়ারম্যান কাজী আশফাক আহমেদ চৌধুরী এবং আকিজ গ্রুপের হেড অব মার্কেটিং সাজ্জাদুল ইসলাম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ. এম. সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরী বলেন, বর্তমান পৃথিবী দ্রুত বদলে যাচ্ছে। এ যুগ হলো আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্সের যুগ। এআই এখন চিকিৎসা, প্রকৌশল, ব্যবসা, গবেষণা, এমনকি দৈনন্দিন জীবনেও গভীর প্রভাব ফেলছে। তাই সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হলে শিক্ষার্থীদের এআই-এ দক্ষতা অর্জন করতে হবে। শুধু পড়াশোনার পাঠ্যবই নয়, প্রযুক্তির সাম্প্রতিক অগ্রগতি সম্পর্কে গভীরভাবে জানতে হবে, নতুন দক্ষতা অর্জন করতে হবে। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের আসল শক্তি হলো শেখার সুযোগ আর ইতিবাচক মনোভাব। আমাদের জীবন খুব সংক্ষিপ্ত, তাই এই স্বল্প সময়ের মধ্যেই আমাদের অনেক বড় কাজ করে যেতে হবে। প্রফেসর ড. এ. এম. সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ছাত্রদের উচ্চ আকাঙ্ক্ষা থাকতে হবে বড় স্বপ্ন দেখার মানসিকতা থাকতে হবে। জীবনে হতাশ হওয়া যাবে না। ব্যর্থতা আসবে, চ্যালেঞ্জ আসবে, কিন্তু ইতিবাচক মনোভাব ধরে রেখে এগিয়ে যেতে পারলেই সাফল্য নিশ্চিত। শিক্ষার্থীদের প্রতি আমার আহ্বান, নিজেদের সক্ষমতা বিশ্বাস করুন, মনোযোগী থাকুন, সৎ থাকুন এবং কঠোর পরিশ্রম করুন। তবেই আপনারা নিজেদের ভবিষ্যৎকে সুন্দর ও অর্থবহ করে গড়ে তুলতে পারবেন। এ ধরনের প্রযুক্তি উৎসব ভবিষ্যতে গবেষণা ও উদ্ভাবনে উৎসাহী হওয়ার মঞ্চ। আজকের তরুণরাই আগামী দিনের বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেবে। তাই নিজেদের যোগ্যতা, নৈতিকতা এবং সৃজনশীলতা দিয়েই দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে হবে। এই ক্যাম্পাসে এসে সত্যিই আমার খুব ভালো লেগেছে। এটি একটি পরিপূর্ণ ক্যাম্পাস পরিবেশ, শিক্ষার মান, শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ, সব মিলিয়ে শিক্ষার এক মনোমুগ্ধকর পরিবেশ এখানে বিরাজমান।
Leave a Reply