1. admin@channelcity24.com : admin :
  2. emonhabibkhan233@gmail.com : Emon habib : Emon habib
রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:৩৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় জাসাস এর দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত।  বাকলিয়া থানা ছাত্রদলের উদ্যোগে বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট ভাঙা, ন্যায্য করনীতি এবং মোবাইল ফোনের উন্মুক্ত আমদানির সুযোগ সৃষ্টির দাবিতে মেট্রোপলিটন মোবাইল ব্যবসায়ী সমিতিও ধর্মঘট পালন নগরীর দক্ষিণ বাকলিয়া বিএনপি পরিবারের উদ্যোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল চট্টগ্রাম ০৬ রাউজান এর জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি’র) মনোনয়ন প্রত‍্যাশী মো: জাহেদুল করিম বাপ্পী’র বিবৃতি ডাঃ মাহবুব কামাল চৌধুরী একজন মানবিক চিকিৎসক ছিলেন সন্দ্বীপে ক্ষতিগ্রস্ত ৩৪ জেলে পরিবারকে সরকারি সহায়তা প্রদান।  নির্বাচনের লক্ষে সতর্ক, দায়িত্বশীল ও নিরপেক্ষভাবে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের আহ্বান  চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের।  চট্টগ্রামে গণঅভ্যুত্থান— *শহীদ ৭ পরিবার, পাশে বিএনপি মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন এর পক্ষে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট চেয়ে নির্বাচনী প্রচারণামূলক লিফলেট বিতরণ করেন চিকনদন্ডিতে ইউনিয়ন কৃষক দল

হেঁটে কক্সবাজার থেকে এভারেস্টচূড়ায় উঠলেন শাকিল

  • সোমবার, ১৯ মে, ২০২৫
  • ৬৪১

হেঁটে কক্সবাজার থেকে এভারেস্টচূড়ায় উঠলেন শাকিল

কক্সবাজার থেকে হেঁটে গিয়ে পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ এভারেস্টে বাংলাদেশের পতাকা ওড়ালেন ইকরামুল হাসান শাকিল। আজ ১৯ মে তিনি চূড়ায় পৌঁছান।

ইকরামুল হাসানের ফেসবুক পেজে আজ বেলা ২টা ১০ মিনিটে এক স্ট্যাটাসে তাঁর অভিযানের সমন্বয়কেরা জানিয়েছেন, ‘এইমাত্র খবর পেলাম, শাকিল সামিট করেছে এবং সুস্থ আছে। ক্যাম্প–৪–এ নেমে এসেছে। নেটওয়ার্ক না থাকায় বিস্তারিত তথ্য এখন দেওয়া যাচ্ছে না।’

ইকরামুল হাসান তাঁর এই অভিযানের নাম দিয়েছেন ‘সি টু সামিট’, অর্থাৎ সমুদ্র থেকে শৃঙ্গ। সেই লক্ষ্যেই গত ২৫ ফেব্রুয়ারি দুপুরে কক্সবাজারের ইনানী সমুদ্রসৈকত থেকে এভারেস্টচূড়ার উদ্দেশে হাঁটা শুরু করেন। চট্টগ্রাম, ফেনী, কুমিল্লা ও মুন্সিগঞ্জ হয়ে ১২ দিন পর ঢাকায় পৌঁছান। কয়েক দিন বিরতি দিয়ে আবার হাঁটা শুরু করে গাজীপুর, টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ হয়ে ২৮ মার্চ পৌঁছান পঞ্চগড়ে। ইকরামুল হাসান পরদিন বাংলাদেশ থেকে প্রবেশ করেন ভারতে। সে দেশের জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং হয়ে ৩১ মার্চ পা রাখেন নেপালে। এভাবে ১ হাজার ৪০০ কিলোমিটারের বেশি পথ হেঁটে গত ২৯ এপ্রিল এভারেস্ট বেজক্যাম্পে পৌঁছান ইকরামুল হাসান।

তার পর থেকে সেখানেই অবস্থান করছিলেন ইকরামুল হাসান। মাঝে ৬ মে রোটেশনে বের হন। একে একে ক্যাম্প–৩ পর্যন্ত পৌঁছে আবার বেজক্যাম্পে নেমে আসেন ১০ মে। এই পুরো রোটেশন এভারেস্ট অভিযানের মূল শৃঙ্গারোহণের প্রস্তুতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এরপর মূল অভিযানের জন্য বেজক্যাম্প থেকে ১৬ মে ক্যাম্প–২-এ পৌঁছান ইকরামুল হাসান। ১৭ মে ক্যাম্প-৩ এবং ১৮ মে ক্যাম্প-৪-এ পৌঁছান। এই ক্যাম্প থেকেই আজ সামিট পুশ (সর্বশেষ ক্যাম্প থেকে চূড়ার পানে যাত্রা) করেন।

 

১৯৯০ সালে অস্ট্রেলিয়ার পর্বতারোহী টিম ম্যাকার্টনি-স্নেপ দ্বিতীয়বারের মতো এভারেস্ট শৃঙ্গে আরোহণের পরিকল্পনা করেন। তাঁর একক অভিযানটির নাম দেন ‘সি টু সামিট এক্সপেডিশন’। অর্থাৎ সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে হেঁটে পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গে পৌঁছানোর প্রয়াস। টিম করেছিলেনও তা–ই, ভারতের গঙ্গাসাগর থেকে ৯৬ দিনে ১ হাজার ২০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে পা রাখেন পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গে।

৩৫ বছর আগের ম্যাকার্টনির সেই কৃতিত্ব বেশ অনুপ্রাণিত করে বাংলাদেশের পর্বতারোহী ইকরামুল হাসানকে। এই তরুণও তাঁর অভিযানের নাম দেন ‘সি টু সামিট’। দেশের জনপ্রিয় পর্যটনস্থান কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত থেকে শাকিল হেঁটে জয় করলেন এভারেস্ট শৃঙ্গ।

পৃথিবীর সর্বোচ্চ শিখর মাউন্ট এভারেস্টে প্রথম অভিযান পরিচালিত হয় আজ থেকে শতাধিক বছর আগে। ১৯৫৩ সালের ২৯ মে নেপালের শেরপা তেনজিং নোরগেকে সঙ্গে নিয়ে প্রথমবারের মতো বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বত মাউন্ট এভারেস্টের চূড়ায় উঠেছিলেন নিউজিল্যান্ডের পর্বতারোহী এডমন্ড হিলারি। আর ২০১০ সালের ২৩ মে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে এভারেস্টের শীর্ষে ওঠেন মুসা ইব্রাহীম। এরপর ২০১১ ও ২০১২ সালে দুবার এভারেস্ট জয় করেন এম এ মুহিত। প্রথম বাংলাদেশি নারী হিসেবে ২০১২ সালের ১৯ মে এভারেস্টের চূড়ায় আরোহণ করেন নিশাত মজুমদার। একই বছরের ২৬ মে ওয়াসফিয়া নাজরীন জয় করেন এভারেস্ট। ২০১৩ সালের ২০ মে এভারেস্টজয়ী পঞ্চম বাংলাদেশি সজল খালেদ এভারেস্টচূড়া থেকে নেমে আসার সময় মারা যান। এরপর বাংলাদেশি পর্বতারোহীদের এভারেস্ট অভিযানে নেমে আসে খরা। ১১ বছরের সেই খরা কাটিয়ে গত বছর ১৯ মে এভারেস্টের চূড়ায় বাংলাদেশের লাল-সবুজ পতাকা ওড়ান বাবর আলী। এবার সেই ধারাবাহিকতা রক্ষা করলেন ইকরামুল হাসান।

ইকরামুল হাসান পর্বতারোহণের প্রাথমিক ও উচ্চতর প্রশিক্ষণ নিয়েছেন ভারতের নেহরু ইনস্টিটিউট অব মাউন্টেনিয়ারিংয়ে। হিমালয়ের ‘কেয়াজো-রি’, ‘দ্রৌপদী কা ডান্ডা-২’ ও ‘হিমলুং’, ‘ডোলমা খাং’ পর্বতশৃঙ্গ আরোহণ করেছেন সফলভাবে। ২০২৩ সালে ‘গ্রেট হিমালয়া ট্রেইল’ নামে পরিচিত হিমালয় পর্বতমালার মধ্য দিয়ে নেপালের পূর্ব থেকে পশ্চিমে চলে যাওয়া ১ হাজার ৭০০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের দুর্গম পথ হেঁটে পাড়ি দিয়ে আলোচনায় এসেছিলেন ইকরামুল।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও...
© All rights reserved © 2025 channel City
Theme Customized By BreakingNews